প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
সকাল বেলায় মাছ কিনবো বলে, মাছ বাজারে ঢুকতেই দেখতে পাই,
২৮-২৯ বছরের মেয়েটি মাছ বিক্রি করছে, হেঁড়ে গলায় বলছে,
মাছ নিয়ে যান দিদি, জ্যান্ত দেশি রুই মাছ, কৈ মাছ আছে,
আজ ছুটির দিন তেল কই খেলে দিনটা জমে যাবে।
কথাটা কানে আসতেই আগের রাতের না ভাবনা গুলো
হঠাৎই উড়ে গিয়ে এক চিমটে সুখের দ্রবন ছিটিয়ে যায়।
সদ্য স্বামীহারানো মেয়েটি, লজ্জার মাথা খেয়ে এক হাত ঘোমটা টেনে,
পালা বাটখারায় কারচুপি না করে, ভরা বাজারে সবজি বিক্রি করে।
আমি বাজারে গেলে প্রথমেই ওর কাছে ছুটে যাই, ওর জীবনপথ
একটুকু ছঁয়ে নেব বলে।
আমার মায়ের প্রায় সমবয়সী এক মহিলা, রোজ ট্রেনের একামরা ওকামরা ঘুরে ছোলা মটর ভাজা বিক্রি করে, খুচরোর অভাবে কিনতে না পারলেও দূর থেকে প্রণাম জানাতে জানাতে দেখতে পাই, জন্ম থেকে একদিক কোলাপ্স (collapse) করে থাকা সমাজের হৃদপিণ্ডটা একটু একটু করে
সচল হতে শুরু করেছে।
দেখতে পাই, ফুসফুসের বায়ুথলিগুলো শুদ্ধ বাতাসে ভরে যাচ্ছে,
আমিও শ্বাস নিতে নিতে গন্তব্যে পৌঁছে যাই।
একদিন অজানা স্রোতে ভেসে ছিলে তুমি,
অস্তিত্বকে খুঁজে নেবে,
পথের দু’ধারে ফেলে এসেছিলে –
শৈশবের ধুলো ঘর, মান – অভিমান,
জীবনের ছেঁটে ফেলা সুখ ও সময়।
খুঁজে নেবে এক টুকরো মাটি,
ঋজু হয়ে দাঁড়াবে,
মাটিই তো সব, যার জন্য
যুদ্ধ যুদ্ধ খল, মৃত মানুষের ঢল
ভেঙে দু’খণ্ড, বঙ্গভঙ্গ,
ইরাক, লিবিয়া কিংবা প্যালেস্টাইন।
কালবৈশাখী কতবার, মাঝে মাঝে
ঝিকিমিকি রোদ, স্বপ্ন দেখায়
খনন চলতেই থাকে…
অবশেষে এক টুকরো মাটি, তার উপর
অস্তিত্বের চারাগাছ, শেকড়ে মাটির টান
পায়, বুকে বল পায়।
একদিন ঠিক দিক বলে দেবে
কোন পথ দিয়ে যাবে জীবনের সময়।
যে গ্রীষ্মে তুমি খুঁজে ফের কালবৈশাখী
কিংবা চাতকের মত জল,কষ্ট অবসান,
সে দহন আমি জমিয়ে রাখি এ বুকে,
যেন সত্যকে ছুঁয়ে নিতে পারি আবহমান।
যে শ্রাবণে তুমি শুধু প্রেম প্রেম খেলা
জানি ভুলে যাও চরাচর আনমন,
সেই বৃষ্টিতে আমি সবটুকু ভিজি, তবু
জমিয়ে রাখি দু’চোখে জল -প্রাণ-মন।
যে পৌষের রোদে তুমি শীতঘুম দাও,
দু’চোখে স্বপ্ন ভালো লাগা দিনোমান,
সে রোদ আমিও গায়ে মাখি, ভালো থাকি
আমাকে শোনায় নতুন ফসল গান।
জন্ম মৃত্যুর মাঝখানে জীবন বয়ে যায়,
জন্মতে শুরু হয়ে মৃত্যুতে মিশে যায়।
কোথাও কোথাও পাথরেও
প্রাণের স্পন্দন পাওয়া যায়,
পাহাড়কে ভালোবেসে ঝর্ণার শীতলতা
আজীবন থেকে যায়।
পথিকের আসা-যাওয়া, মান-অভিমান,
তবু সবুজ জন্ম অবুজ হয়ে থেকে যায়।
ছোট্ট ছোট্ট ঘাস গুলো, পাথরকে –
জীবন্ত রাখার ব্রত নিয়ে
একটার পর একটা জন্ম খুয়িয়ে দেয়।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..