দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
‘দাদী তুমি কি দাদাকে একটুও ভালোবাসতে?’
খুব কি কঠিন প্রশ্ন? ভেবে দেখলে হয়তো কঠিন। না ভাবলে উত্তর খুব সহজ, হ্যাঁ কিংবা না। শরিফা বেগম সহজ পথেই পা বাড়ালেন। সোজাসুজিই বললেন, ‘হ্যাঁ, ভালবাসতাম। স্বামীকে ভালবাসবো না?’
তন্বী নাছোড়বান্দা, অনেকটা ওর বাবার মতো। এত সহজে কিছু মেনে নেবে না, যুক্তির কোন না কোন খেলায় নামবেই।
‘স্বামী হলেই ভালবাসতে হবে তা কেন ? ভালোবাসা কি এভাবে হয়?’
‘আমাদের সময় হতো।’
শরিফা বেগম হাতে থাকা বইয়ের পাতা উল্টোতে উল্টোতেই বললেন, তন্বীর মুখের দিকে তাকালেন না। অনেকটা এড়িয়ে যাওয়ার ভঙ্গী ছিল হয়তো, তন্বীর নিশ্চয়ই তা চোখ এড়ায়নি। এতো সহজে অবশ্য আজ পার পাওয়া যাবে না, তন্বী বোধ হয় আজ দাদীকে কোণঠাসা করতেই মাঠে নেমেছে। ‘দাদা তোমাকে মারধোর করতো, ঘরে আটকে রাখতো, অত্যাচার করতো, এগুলো কি ভুল?’
শরিফা বেগম বই থেকে চোখ সরালেন না। আবেগহীন কন্ঠে বললেন, ‘না, ভুল না।’
গল্পটির অডিও পাঠ শুনুন এইখানে-
‘তোমার পেটে আরেকটা মেয়ে ছিল, যেটা দাদা তোমার পেটে লাথি মেরে নষ্ট করে দেন। এটা কি ভুল?’ তন্বী এবার বেশ উত্তেজিত। দাদীকে আজ সে ভালোভাবেই চেপে ধরেছে, একটা হেস্তনেস্ত করেই তবে ছাড়বে।
‘না, ভুল না।’ শরিফা বেগমের কন্ঠ আগের মতোই। আবেগহীন, কিছুটা যান্ত্রিক। সেখানে বেদনার লেশমাত্র নেই যেমন তেমন নেই ক্ষোভ কিংবা বিষাদের একটু আধটু ছাপ।
‘তবুও তুমি বলতে চাও দাদাকে তুমি ভালোবাসতে? মানুষ এমন হয়না দাদী। আমাকে বিশ্বাস করতে বোলো না। মানুষ অতি স্বার্থবাদী এক প্রাণী। ভালোবাসা পাওয়াও এক স্বার্থের নাম। যেখানে ভালোবাসা পাওয়ার সুযোগ নেই সেখানে ভালোবাসা কখনোই সে দিতে পারেনা।’
শরিফা বেগম এবার নিরুত্তর। তন্বী এই খন্ডযুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী ভাবতে শুরুও করে দিয়েছে ততক্ষণে। শরিফা স্বভাবসুলভ শান্ত গলায় বলে গেলেন, ‘আমি যদি তোর দাদাকে না-ই ভালবাসতাম তাহলে আবারো বিয়ে করতাম, তোর বাবাকে বুকে করেই বাকি জীবন কাটিয়ে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতাম না। তুই জানিস আমাদের পরিবারে সেরকম সুযোগ ছিল। আমাকে জোরও করা হয়েছে। আমি রাজি হইনি। মনের ভেতর ভালোবাসা নামক কিছুর ছিটেফোটা ছিল বলেই রাজি হইনি।’
দাদীর কিশোরী নাতনীর তর্ক চালিয়ে নেবার মতো জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা কোন রকম রসদই ছিল না। তন্বী মেনে নিতে বাধ্য হলো, কিংবা সম্ভবত,পাল্টা যুক্তি খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে চলে গেল। শরিফা বেগম তাতে বইয়ের পাতায় মনোযোগ বেঁধে রাখার অভিনয়ের আড়ালে নিজের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর সুযোগ পেলেন।
শরিফা বেগম এতগুলো প্রশ্ন ডিঙ্গানোর পরেও প্রথম প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে ফিরছিলেন মনে মনে। সত্যিই কি কোন ভালোবাসা ছিল? বিয়ে না করার সিদ্ধান্তকে কি সম্পর্কের প্রতি অবিশ্বাস কিংবা নতুন কাউকে গ্রহণ করার অনিশ্চয়তাই প্রভাবিত করেনি? ভাবলেই প্রশ্নটি কঠিন, খুব কঠিন। না ভাবলে সহজ, যেমনটা না জানলেই সবকিছু সহজ, অথবা আংশিক জানলে।
তন্বী নিশ্চয়ই জানেনা তার দাদার মৃত্যু কোন দুর্ঘটনা ছিল না, খুন ছিল। কোন এক সন্ধ্যায় শরিফা বেগম খুব ঠান্ডা মাথায় তার স্বামীকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে কুয়ায় ফেলে দিয়েছিলেন। তারপর খুব স্বাভাবিকভাবে রান্নাবান্না করে ঘরদোর গুছিয়ে গৃহস্থালি সব কাজ শেষ করে শ্বশুরকে ভীত কন্ঠে জানিয়েছিলেন, তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। খুব মিথ্যা ছিল না সে কথা। বিয়ের আগে তিনি যাকে চিনতেন, বিয়ের পর তার সেই স্বামীকে তো সেই কবে থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
শরিফা বেগম বই বন্ধ করে পাশে রাখলেন। কপালটা দপদপ করছে, চোখ বুজে চোখের পাতাকে একটু বিশ্রাম দেয়া হোক কিছুক্ষণ। চোখ বোজার পরপরই তার মনে হলো তিনি প্রথম প্রশ্নের উত্তরটা পেয়ে গেছেন। উত্তরটা হলো, হ্যাঁ।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..