জানি তো ফারাক নেই
জানি তো ফারাক নেই জানি তো ফারাক নেই, বৃষ্টির জল ক্যামোফ্লেজ ধুয়ে না দিলেও জানি…..
সকাল থেকেই মাথাটা খসখস করছিল,
চুল আঁচড়াতে গিয়ে আয়নায়ে হঠাৎ
দেখতে পাই একটি পাকা চুল…
তোমার প্রেম যে আমায়ে সত্যিই পুরনো করে দিয়েছে, অনিল!
তোমার চোখের চাহনি, বাঁকা হাসি, ঠোঁটে আধঝোলা সিগারেট—
এখনও দাঁড়িয়ে থাকি প্রত্যেক রবিবার
তোমার অপেক্ষায়ে এসপ্ল্যানেডের মোড়ে,
হাজার মানুষ-গাড়িঘোড়া-ফুচকা-সময় ভেদ করে,
দৌড়ে এসে বল- “ ঘড়িটা পড়তে ভুলে গিয়ে এত দেরি। “
সময় যে অনেক পেরিয়ে গেছে, অনিল! “ টু লেট। “
চন্দ্র, সূর্য অস্ত গেছে বহুবার—
আবার উঁকি দিয়েছে এই ঘেমে-ওঠা পোড়ো আকাশে
যেভাবে তুমি লুকিয়ে থাকতে পাইপ বেয়ে-ওঠা বারান্দার দরজায়ে।
শীতের শহরে ডানা মেলে থাকে রুপকথার পাখি,
মুখটা তার ভীষণ চেনা—
যেন হাজার বছর আগে
এমন এক মধুর সন্ধ্যায়
মন ভাঙ্গাভাঙ্গি করেছে সে,
হৃৎপিণ্ডটা হাতে নিয়ে আদর করেছে,
তারপর তাড়াহুড়োতে ফেলে দিয়ে
চুরমার আওয়াজে ভেঙ্গেছে আমার ঘুম—
নরম রোদের মিঠে ছোঁয়ায়ে তোমাকে
নতুন করে চিনেছি আমি।
জানি তো ফারাক নেই জানি তো ফারাক নেই, বৃষ্টির জল ক্যামোফ্লেজ ধুয়ে না দিলেও জানি…..
সততা সততা গড়িয়ে যায়।রাত্রি নামে। মশারীর অজস্র ফুটো দিয়ে ঢুকে পড়ে সন্দেহ চতুদর্শীর চাঁদ চেনা…..
এ পৃথিবী বিশাল এক ট্রানজিট সেন্টার, এখানে আমি তো কেবলই আগন্তুক মাত্র। সাঁওতালিয় সরলতায় কোনো…..
অগ্নিকাণ্ড আমার চৌহদ্দিতে ধ্বংসস্তুপের ভীড় পুনর্বার নুয়ে পড়া অতীতের তীর জীবনের মাঝপথে রেখে যায় সম্পর্কের…..