জানি তো ফারাক নেই
জানি তো ফারাক নেই জানি তো ফারাক নেই, বৃষ্টির জল ক্যামোফ্লেজ ধুয়ে না দিলেও জানি…..
এভাবে সিঞ্চন করো, দেখো
গাছের শরীরে ফুটে ওঠা গোপিভাব
অগুরু চন্দন নিয়ে শরীরে মাখাও
কীভাবে শরীর থেকে নীরবতা ভেঙে পড়ে গেলে
জ্যামিতিক সব কিছু পাপড়ি মেলে দেয়
তবে কিছু কথোপকথন রেখো প্রবেশক
সরাসরি মাটির ভেতরে গেলে
গাছের শেকড়ে বড়ো উন্মাদনা ওঠে
কীভাবে সামাল দেবে ঝড়
গাছের শরীরে যদি অক্টোপাস ফোটে।
ছুঁচের ছিদ্রতা নিয়ে বলা যায় কত কথা
কীভাবে ময়ূর পারে ঢুকে যেতে ওই ছিদ্রপথে
রতিবনে বসে মেলে দেয়, পেখমবিলাস
ছুঁচের ছিদ্রের পথে খুব মৃদু কথা
ঢুকে গিয়ে বেলুনপিপাসা, সেকি ধুন্ধুমার!জলাশয়ে ফুটে ওঠে মুষলপর্বের কাল
ছুঁচ কি নিজেও জানে ছিদ্রপথে ঢুকে পড়া
ফসলের খেতে, পুরাণের কথা এঁকে কমলেকামিনী গিলে খায় হাতি।
ভরন্ত পুকুরে জাল ফেলা হলে
মিলিদিদি উনুনে চড়িয়ে দেয় লোহার কড়াই
দোশান ডুবিয়ে রাখে পূর্ণ তেল ভাঁড়ে
উনুনের গায়ে ঠেস ত্রিভঙ্গ দাঁড়ানো
খুন্তির অন্তরমহল জুড়ে, খুশির লহর
উল্টে পাল্টে খুব ভেজে দেবে মাছের মরণ
শূন্য হাতে উঠে আসে জাল
ক্রমশ আগুন খেয়ে লাভা
কড়াইয়ের তলদেশ দেখতে দেখতে
মিলিদিদি ডুবস্নান নিতে যায় পুকুরমহলে।
জলেরও ভেতরে থাকে অন্তঃস্তল কথা
যে কোনো পতনে তার পেতে দিলে হাত
কত কথা কত গান কত পরিচয়
যখন গেলাসবদ্ধ, পিপাসার আলো
ছুঁয়ে দেয় তাপিক হৃদয়
খোলা জানালার কাছে এসে
সুকুশল জেনে যায় প্রেমিক রঙের কত ফুল
হাঁড়ির ভেতরে থেকে যখন আকুল টানে
টেনে নেয়ে স্নান করা চালের শরীর
কী আনন্দ তার, দেখে অপরূপ নৃত্যগীতে
সমুহ চালেরা শরীরে ফুটিয়ে তোলে
ভাতের ধরন
এও এক রূপান্তর কঠিন হৃদয় ভেঙে
কোমলের আকুতিপ্রকাশ
অশ্রুগ্রন্থি বেয়ে নেমে এলে নুনের মসিহা
পাথরে পাথরে কত লিপিফুল ফোটে।
জানি তো ফারাক নেই জানি তো ফারাক নেই, বৃষ্টির জল ক্যামোফ্লেজ ধুয়ে না দিলেও জানি…..
সততা সততা গড়িয়ে যায়।রাত্রি নামে। মশারীর অজস্র ফুটো দিয়ে ঢুকে পড়ে সন্দেহ চতুদর্শীর চাঁদ চেনা…..
এ পৃথিবী বিশাল এক ট্রানজিট সেন্টার, এখানে আমি তো কেবলই আগন্তুক মাত্র। সাঁওতালিয় সরলতায় কোনো…..
অগ্নিকাণ্ড আমার চৌহদ্দিতে ধ্বংসস্তুপের ভীড় পুনর্বার নুয়ে পড়া অতীতের তীর জীবনের মাঝপথে রেখে যায় সম্পর্কের…..