দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
টুকরো চেরিফুলের আঁঠায় তোমার চোখের পাপড়ি এখন ভোর, তোমার ঘুমন্ত শরীর মেঘের মতো বিছানো পাহাড়ে পথের দুধারে। গোলাপজামের, কাঠবাদামের,কাজুফুলের গাছ চতুর্দিকে সূর্যকে দিব্বি দিয়ে ডাকছে। মনোরম এক তীব্র গন্ধ বেয়ে আমি চোরের মতো গড়িয়ে দিচ্ছি লাল সিরাপের টানা পাকদণ্ডী সড়ক। এখানে বাকলের গায়ে কবরের ঠিকানা। সেইখানে আপনাকে লিখেছি গীতাদি, লুচি ডিমভাজা আর পায়েস করে পাঠিয়েছিলেন,মনে আছে। আজ ডিম ও বারণ, লুচি ও। কেবল প্রবাহের উনুনে পরমান্নে জ্বাল দেওয়া চলেছে মৃদু গুমো আঁচে। আপনার শেষ কলমের শিয়রে একদিন আমিও ফিরে যাবো রাসের উৎসবে।
বাসের পা দানে উঠে কোনদিন আমাকে ভেবো না , কথা দাও।
সাদা মোজা পরা বাইসনের পাল এসেছিল চৌরাহাতে সেই বিকেলে।লাল মাটির ওপর তাদের পায়ে লেগে মাটি আরো গাঢ় রক্তিম। পাহাড়ী ঝর্ণায় শিং ধুয়ে জল খেয়ে ওরা একসঙ্গে এগিয়ে যেতো পাইনের বনের দিকে। গিরিখাদ তখন ফুলে ভরে উঠেছে। আহত ঠোঁটের শৃঙ্গারে ময়ূরপুরুষটির ঘুম নেই।সকালের আলো ফুটেছে কি সে চুপিসাড়ে মাদীময়ূরের গ্রীবালেহনের সুযোগ খুঁজছে। বসতি প্রায় নেই। হাসনুহানার আর ল্যাভেণ্ডারের ঝোপে গা লুকিয়ে গতজন্মের অসম্পূর্ণ রতিমাতোয়ারা তারা। কণ্ঠের ঘ্রাণে পাগল হয়ে দুজনেই কোর্টশিপে মগন। পাতা পড়ছে হলুদ লাল। প্রহরায় জোড়া কাঠবিড়ালি। দু দিন ধরে চলেছে বসন্তসফরীর ধ্যান।
আরো গভীর সে এক শ্বাপদ হেমন্তকাল, রোদেটম্বুর তেজপাতাগাছ
ঋষির মতো স্থানু এক শিউরানো কৃষ্ণাভা তার হাতে
শীতের গোলাপ
পিচ রাস্তা, অবাক হেলানো সরাইখানায় তার কত
আয়োজন, কাচঘরে তখনো রোদ্দুর ছায়া ফেলে যায়
সেইমতো যা যা কথা ছিল সব মিলে যাবে সেদিন,দেখো
তোমার কপাল কৃশ আপেলের চামড়ায় যেরকম পরজীবী
আমাকে ভক্ষণ করো।
অকৃপণ মাদকের মতো সারি সারি দেহের পানীয়।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..