প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
মেয়াদোত্তীর্ণ মোড়ক
এখানে আজ বিবর্ণ হয়ে গেছে সব
গাছ নদী ফুল ফসল এই জনপদ
জং ধরেছে শরীরে মনে সময়ের গল্পে
টলটলে জলের নদী শুকিয়ে গ্যাছে
পাকা হয়েছে মাটির ঘর সড়ক
ঝাড়বাতিতে মোড়ে মোড়ে জেগে থাকে রাত
ঘুটঘুটে অন্ধকার ঝিঝি পোকার ডাক নেই
নেই সার বেধে ডেকে ওঠা শেয়ালের পাল
ফড়িঙের পিছু আর শিশুরা ছোটে না
নাটাই আর ঘুড়ি হাতে শৈশব কাটে না
গোল্লাছোট দাড়িয়াবান্ধা ওপেন্টি বায়োস্কোপ
হারিয়েছে রূপকথার পঙ্খীরাজ রাজকন্যা-রাজপুত
চারিদিকে সবই সুন্দর -সুন্দর আমার হয় না
ঈদে চাঁদে দারুন খুশি-খুশি আমায় ছোঁয় না
আজ আমার মন ভালো নেই
কিছুই আর আগের মত ভালো লাগে না
খেলার মাঠ পাড়ার টং দোকান
নারীর উন্নত বুক সুন্দর ঠোঁট
তাসের আড্ডা সিগারেটের শেষ টান
কিছুই আমায় আগের মত টানে না
বরাদ্দ সময় পেরিয়ে পৌঁছে গ্যাছি সীমান্তে
মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ লেখা হয়ে গেছে মোড়কে
আলস্য
আলস্য আমার প্রিয় আরাধ্য
সখের ঘোড়া পরিচিত গান
আসল্য আমার প্রিয়তমার বাদামী ঠোঁট
আলস্য আমার শৈশবের লালিত বন্ধু
তিরতির বহমান ঝিনাইয়ে মোহনীয় মায়া
আলস্য নিয়ে কত বিকেল কেটে গেছে
আড়মোড়া ভেঙে তোমাকে চুমু খাওয়া হয়নি
আলস্য নিয়ে কত সুন্দর দেখে গেছি শুধু
কাছে গিয়ে ভালোবাসি বলা হয়নি
তুমি কৃপা করে এক বিকেলে বলেছিলে ভালোবাসি
তাই ভালোবাসা চেনা হলো
আলস্য আমার রুশনাই প্রিয়তম-তোমার অশুচি সতীন
তুমি চলে গেলে তাই দুর পরবাসে
আলস্য ভেঙে তোমাকে ফেরাতে পারিনি
স্বৈরশাসক জনতার টুটি চেপে ক্ষমতার মসনদে বসে
আলস্য ভেঙে বলা হয়নি স্বৈরাচার নিপাত যাক
প্রতিহিংসার আগুনে পুড়েছে সনাতন ঘর
রাতের আধারে আশ্রয়ের খোঁজে ধরে সীমান্তগামী ট্রেন
আলস্য ভেঙে বলা হয়নি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাক
আলস্য আমার প্রিয় সুখ-আমি আলস্যের উঠুনেই খাই ঘুরপাক
বয়োসন্ধির স্বপ্নগুলো
এখনও বয়োসন্ধির পাখা মেলে
স্বপ্নগুলো মাঝেমাঝে উড়ে আসে মনের ডাকবাক্সে
সেই পাড়ার বন্ধুরা গুলতি মারবেল খেলার মাঠ
ভিজে দুপুর টিনের চালে বৃষ্টি বানভাসি পাতা
বর্ষার বিল কলাগাছের ভেলা ডুব সাঁতার শাপলা শালুক
গণগণে চৈত্রের দুপুর ঝিমধরা পাড়া
দাওয়ায় ঘুমানো দাদি-শখের নাটাই ঘুড়ি
ঘুঘু বকের বাসা দোঁয়েলের ডিম ছিপ পুকুর
মাঁচায় শুকানো আমসত্ত্ব পেয়ারা গাছ
আম গাছে কুল গাছে ঢিল
চাদর গায়ে ঘিরে বসা নাড়ার আগুন
আমপারা কায়দা বুকে মক্তব ফেরা শিশু পিঠেপুলি
চৈত্রের দুপুরে স্কুল পালানো দস্যি বালক
প্রথম প্রেম প্রথম চিরকুট সুবোধ বালক
রাতজাগা ভোর তিরতির কাঁপা বুক
ক্রিকেটে ছক্কামারা ম্যাচ জয়
পাড়াজুড়ে রৈরৈ বিজয়োল্লাস
প্রণয়িনীর মুখ টেপা হাসিহাসি চোখ
কিশোরী চোখে স্বপ্নের হাতছানি
সময়ের যান্ত্রিক গতিতে সবই আজ বিরান ভূমি
কেবল দেয়ালে টাঙানো ঘড়িটাই রিচার্জে ঠিকঠিক বাজে
যদি বয়োসন্ধির সময়টা রিচার্জ করা যেতো কিংবা মেরামত
যদি সময়ের ত্রিমাত্রিক যানে চড়ে যাওয়া যেতো অজ গায়
নুহের কিস্তি চড়ে বাঁচা যেতো দূসর পৌড়ত্বের অভিশাপ থেকে
যদি কোন জাদুকরী গিলাপ ফেরাতো কৈশরের রঙিন ভোর
এ মানব জনম কে বলো কবে আলগোছে ছেড়ে যেতে চায়
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..