নদী যেখানে

ওয়াহিদার হোসেন
কবিতা
Bengali
নদী যেখানে
মরে যাওয়ার আগে স্বপ্ন দেখছি 
ঘুমের আগে ভাবি
কোথাও অদেখা থেকে গেছে পিপাসার্ত নদী
আর চমৎকার একটা সকালে
বন্য পশুদের পায়ের ছাপ
সারারাত হরিণ আর চিতাবাঘ
লুকোচুরি খেলতে খেলতে হারিয়ে গেছে বনের ভেতর
তখন টিউবলাইট জ্বলে
ঢাকা দুধের সরের কথা মনে পড়ে
গ্লাসে জল ঠান্ডা হচ্ছে
বইয়ের ওপর পৃথিবী উলটে আছে
ডিমের কুসুমের মতো
বাচ্চাদের গাল
মরে যাওয়ার আগে স্বপ্ন দেখছি
ওই নদীতে প্লাবন আসছে,ভোর আসছে সংকল্পের
হাশরের ময়দান 
সব গল্প হবে
সব রূপ রঙ রস
পৃথিবীর মাটি,মাটির গন্ধ
সবুজ বিস্মৃতি
ভুলে যাওয়া হাশরের ময়দান
সব মৃতদের একদিন পুনর্জীবিত করা হবে।
রাজা বাদশাহ 
মধ্যরাতের রাজা আমি
গুড়ো গুড়ো রাত ঝরে পড়ছে
মাথায় শরীরে
কুয়াশায় ঢেকছে শরাবান তহুরার নহর
মহেঞ্জোদারোর প্রাচীন স্নানাগার ভেসে ওঠে
বাথটাবে কোরাস গাইছে কেউ
কৌমার্য হারিয়ে ফেলা অন্ধকারের কান্নায়
নদী যেখানে
নদী যেখানে বাঁক নিয়েছে
নদী যেখানে বা হাতে শাড়িটি সামলায়
ছবি তোলার অবসরে
সেখানে অমৃত আর কুয়াশার মতো তুমুল
সন্ধ্যা নামে।
রাত
রাত।বুকের ভেতর চিরকালীন
যাতায়াতের রাস্তা
অন্ধকারের গহীন কোল
উরুর উষ্ণতা
যেখানে মাথা রেখে কাঁদা যায় এমন
প্রেমিকা
যে দুঃখ নিয়েছে
একদিন গর্ভের সন্তানদের ফিরিয়ে দেবে
ভোরের ব্যাথায়।

ওয়াহিদার হোসেন। কবি। জন্ম ১৯৮৬, ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের আলিপুরদুয়ার জেলার দক্ষিণ খয়েরবাড়ি রাঙ্গালিবাজনায়। লেখাপড়া করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে। পেশাগত জীবনে তিনি একজন শিক্ষক। চাকরি করছেন ডুয়ার্সের এক প্রত্যন্ত চা বাগানের প্রাথমিক স্কুলে। প্রকাশিত বই: 'মধ্যরাতের দোজখ যাপন' (কাব্যগ্রন্থ, ২০১৩) এবং 'পরিন্দা' (কাব্যগ্রন্থ,...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..