মুখ ও মুখোশ
আমি এই নিষ্পাপ মুখ আঁকি
ধার করা মুখাবয়ব নয়
সন্ধ্যার গরম আর বিস্মৃত মেঘ নক্ষত্রের উপমা
দেখা হয়নি। এমনকি তুলনামূলক চাঁদও
তাহলে এমন কি আছে যা আমাকে শিশুপাঠ্য
পড়তে বাধ্য করে সমস্ত সরলরেখা একই দিকে
দৌড়োয় আর তুমি জানো সেটাই ভালোবাসা
আমি এতদিন জল ঘেঁটেছি বুঝেছি একমাত্র
পিপাসাই জলের শ্রেষ্ঠ অনুসন্ধান
পাপড়ির মতো তোমার ঠোঁট খোলা
কলসে স্মৃতি ভরে নিয়ে যাচ্ছে চিরকালীন
নক্ষত্রেরা
ডুবুরির মতো অস্পষ্ট এই আকাশ
যত ভেতরে যাই ততই মুগ্ধ হই আবেগে
আমার রাতভোর আমার জেগে ওঠা পাখির গান
আমি তুমুল তোমাকে চাইছি,এই শ্রী শ্রীমতীর
ঘুমের মতো উদাসীন,হ্যাঁ এইটেই সঠিক কবিতা
সব মুখোশ খুলে তোমার সামনে সজাগ দাঁড়াতে চাই
ক্ষুধাই মন্ত্র
ক্ষুধাই মন্ত্র এর থেকে বড় ছাদ নেই মাথায় দাঁড় করাবার
বৃষ্টি জলে ভেসে যাচ্ছে নগর গাঁও
এগলি সেগলি করে কাটিয়ে দিলাম দিনমান
যদি বলো যে এরপরেও ভালোবাসতে চাও
তাহলে বসো পায়সান্ন এনে দিই
এ বড়ো মিথের কারবার
কোথায় ঘুমালো বটগাছ
স্ত্রী ও সন্তান?
ফাঁকা পকেটে বেরিয়ে গেলে
খিদে পেলে কোন শালা খোঁজে?
দ্যাখো এ রাজত্ব আমাদেরই
আমরাই শাসন করেছি
আমাদের রক্তে আছে ক্রিমিকীট
আমরাই শুয়োরের বাচ্চা
ক্ষুধা লাগলে কার কাছে যাবো
মেরুদণ্ড ইতিপূর্বে বিকিয়ে দিয়েছি
বিকিয়েছি লাঠি
লাঠিতো সাপ হয়ে আছে
ধরার সাহস নেই আর…..
বৌদ্ধ পতাকার মতো
বৌদ্ধ পতাকার মতো ওড়না ওড়ে
এ হাওয়া আমি চিনি, বাংলার জলের মিঠাস
গাছের উষ্ণ আলিঙ্গনে পাখির বাসায় রোদ নামে
দুপুরে গমগম হয়ে ওঠে পাহাড়
ঘুমানোর আগে আমি হাত পেতে বলতে চাই
ভালো থাকুক ভালোবাসা
আমাদের অনন্ত পিয়াস
জন্মান্তরে আবর্তিত হোক বাংলার ধুলো
আর মাটি!
বর্ষা এলো
ছবি আঁকছি
জলছবি
বাইরে রামধনু
ভেতরে বাঘের ছবি
অনেক
অনেক
দিন পরে
ভেজা বিকেল এলো
বর্ষা এলো।