নাগরিকত্ব
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
পাষাণের প্রেম
বিকট নিঃশব্দে নিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ
বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে।
প্রার্থনা গতিরোধ করো দাগী চোরের নিয়মে।
আরোপিত বিধানের ছকে বিবশ হই বিস্ময়ে।
যেন দুয়ারে প্রস্তুুত পাষাণের এক পুলসিরাত
একজীবনের যত গোপনীয় আমলনামা হাতে।
আমার অস্ফুট ভালোবাসারা আগ্রাসী হয়ে ওঠে,
তোমায় আরও ঘিরে ধরে স্ফুটনাঙ্কের বিস্ফোরণে।
ভালোবাসা কী ইচ্ছে তুরুপ? ইসকাপন টেক্কা দেবে
পাষাণ মৃদঙ্গের বোলে ট্রাম করবে শেষের চালে?
হয়- তো করতলে দেখনি নিবিড় প্রেম, জানোনি
হাজার বছরকার জটিল পৃথিবীর পাঁজরের
মায়ার সুন্দরতর নদীটির নাম-ই ভালোবাসা।
ডুবসাঁতার দিয়ে তুলতে হয় কসমিক হৃদয়।
জীবন এক মমিঘর
বলয় ছেড়ে ধেয়ে আসা উল্কাপিণ্ডের
দলছুট হয়ে যাওয়া কি কেবলই পৃথিবীর আকর্ষণ অথবা
লোকায়ত কিংবা পরম্পরাগত বিধি?
না-কি কিছু অভিমান থাকে ধুমকেতুর সাথে?
অঝোর ধারায় বয়ে যাওয়া বৃষ্টির কামনায় শুধুই সমুদ্রের মোহ?
না-কি কিছু অপ্রকাশিত অভিযোগ মেঘের তরে?
জারুলের নিম্নমুখী পাতাদের শোকে ঝরে কেন দুঃখের বিষমফল?
অভিমান, অভিযোগ, অনুযোগও নিরুত্তাপ হয়ে যায় একদিন।
যুগল শালিক যুগলেও ভীষণ একায় কাতর,
খেয়া ঘাটের কড়ি চুকানো হয় না আর
পৃথিবী বুক খুলে দেখায় জীবন এক মমিঘর।
আমার ধ্বসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
নিজেদের ভেঙে পড়া ঝনঝনানি শব্দে প্রতিটি ভোর হয়। ভাঙা টুকরোগুলো নতুন অবয়বে জুড়ে দেয়ার…..
অচেনা আমি হতাশার নোনাজল ঢেউ খেলে হৃদয়ের আঙিনায়। ভাঙনের সুর মাতাল অগ্নি ঝরা সায়াহ্নে আঁধার…..
তোমায় নিয়ে বাঁচি একদিন আমাদের পৃথিবীটাকে সূর্যসমেত গিলে খাবে একটা কালো বিন্দু সেদিন কি পুরো…..