আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
মৃত সম্পর্ক
খাতায় – কলমে তাদের সম্পর্কটা এখনও বিছানা – বালিশের। কুড়ি বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে এখন চিড়। তবে এখনও কেউ ইতি টানতে চায়নি তেমনভাবে।
স্ত্রী সন্দেহ করে স্বামীকে। স্বামী ভাবে, এ আর তেমন কী! ভালবাসার মধ্যেই তো লুকানো থাকে সন্দেহের বীজ। তবু একটা সময়ের পর সম্পর্কে ক্লান্তির ছাপ লাগে, দমবন্ধ হয়ে আসে।
জীবন বড়ো কঠিন। একটু খোলা শ্বাস নেবার জন্য কী আঁকুপাকু। যতো আঁকুপাকু, ততো চোপসানো সম্পর্ক। একটা সম্পর্কের দোর বন্ধ থাকলে অন্য সম্পর্ক কড়া নাড়ে দরজায়। একলাযাপনে যে নষ্ট হৃদয়ে খেলা করে মহীনের ঘোড়াগুলি।
অপেক্ষার লনঠন
রাতের শেষ আরামবাগ লোক্যাল ধরে তোকিপুর স্টেশনে নেমে পঞ্চাননতলা যাওয়া আমার নিত্যদিনের কর্ম। গত পঁচিশ বছর ধরে এই চলছে। আগে হেঁটে হেঁটে যেতাম, এখন মোটর সাইকেলে। তবে একটা টিমটিমে লনঠন আমার অপেক্ষায় থাকে আজও।
অঙ্ক – রাগিনী – গান
নিয়ম করে প্রতিভোরে রেওয়াজে বসতো সে। তারপর কী যে হলো। অসুখের বীজ কোথায় লুকিয়ে ছিল কে জানে ! গান আর রাগিনী হয়ে উঠল না, অঙ্ক হয়েই রয়ে গেল।
নত মন , নত দর্প
মরা জ্যোৎস্না দেখলে, মনখারাপি ভাবটা পেয়ে বসে। মনে হয় যেন কতো প্রিয়জন যারা একদিন এই পৃথিবীর ধূলিপথে ছুটে বেড়িয়েছে, তারা আজ কাঁদছে মাটির নীচে শুয়ে। তখন আপনা হতে নত হয়ে আসে সব অহংকার, সব দর্প।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..