যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
বৃষ্টিভেজা জীবন
মেঘহীন হাওয়ায়
উড়ে যায়
গোধূলির গাংচিল,
বিশ্বাসের বর্ণিল
কাঠবিড়ালী চোখগুলো
বিদ্যুৎ চমকের প্রহরে
গন্তব্য হারায়
উদাসীন অন্ধকারে।
সত্তাহীন একাকী ঘুরি
বিভ্রান্ত সময়ে পুরোপুরি
আলো-আঁধারিতে বিগত-
পাথরের মত,
মধ্যরাতের করতলগত
বৃষ্টিভেজা জীবন-
বর্ষার কথা ভুলে যায়!!
সে ছাড়া
নিজেকে চূর্ণ করে দেখি
চিরদিনই আমি,
তার মুখাপেক্ষী-
অস্থির পোকার মত
মাছরাঙা স্মৃতিতে জেগে থাকি
সময়ের তীব্র তীরে দেখি-
সে ছাড়া আমি,
বয়সী অশ্বত্থ –
ক্রুশকাঠের জীবন
মৃত্যুর মতো একাকী
আমার আনন্দ,আমার সুখ
অভ্যাসবশত
বরাবরের মত
পূর্ণিমার কপালে
আমবস্যার আড়ালে
একাকী কল্পনা সাজাই;
তবু ব্রহ্মপুত্রের স্বত্ত্বায়
বিষাদ ছড়ায়
পলাতক শিমুল-পলাশ,
হারানো জোছনায়
ছন্নছাড়া কৃষ্ণচূড়ায়
বিচ্ছিন্ন বসে থাকি
শীতল শূন্যতায়;
নিদ্রাতুর জনসভায়
যা কিছু আমি রেখে এসেছি
ব্রক্ষ্মপুত্রে, গারোপাহাড়ে
সে সত্যগুলো
বিশ্বাসের শরীরে
বলে যায়, চোখ বুজে
আমার আনন্দ,আমার সুখ
সার্বভৌম পতাকার মত উড়ে
ভালোলাগার গম্বুজে!!
জাদুঘরের দরোজা
ভালোবাসা আর বিষাদ ততটুকু
রুপকথা মনেহয়
বিশ্বাসের বর্ণময়
ভালোলাগা আর অপেক্ষা যতটুকু
আবারো ডুবিয়ে দ্যায়
বিমূঢ় জোছনায়-
মেধায় নিষ্কলুষ শৈশব
বিরুদ্ধ সময়ের কলরব
বারবার ঘিরে ধরে
মধ্যবিত্ত দুপুরে, রাত্তিরে
এখন আমি একাকী থাকি
রাত্রিদিন আরেকটি চকমকির করুণা
বাতিল প্রিন্টের মত ছাপা হয় না-
কাফকার আর্তনাদ
বা জীবনানন্দের মৃত্যু উম্মুখ
জীবনের স্বাদ
অস্তিত্বহীন অবিশ্বাসের মত
ব্যর্থ ফিরে যায়
জাদুঘরের জং-ধরা দরোজায়
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..