দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
হিজলের ফুলে ফুলে
ছবির মেয়েটা
হেঁটে চলে যায় দূরে
বুকে লাগে নীল ঢেউ
চোখের বাহানা; মৃত বন্ধুর
নাম ধরে ডাকে কেউ
আতসবাজির রাতে
চিঠিগুলো কেউ পৌঁছে দেবে
ঠিক প্রাপকের হাতে
কিছু সহিষ্ণু হও আলো
মন থেকে মনে সঞ্চার হোক
স্মৃতির ছবি যা ভাল
পেরিয়ে যাচ্ছি মায়া—
টানের হাওয়া উঠছে প্রবল
কাঁপছে তোমার ছায়া..
নেই ক্ষোভতাপ কিছু আমাদের
রাখি সাময়িক শোক প্রস্তাব
চোখে ঘুম চাই এসো রাত্রি
আজ ভায়োলিন ঝিম ধরে থাক
উদযাপনের হল্লায়- ভিড়ে অচেনা অজানা সৈন্য। কারা ছড়িয়েছে নীল বীজ খুব ঘুমিয়ে পড়ার জন্য? বাজছে ওই বাজছে আজ সাইরেন নাকি বজ্র। রাত্রিবীণা আমাদের নেই ততটা তুমুল, তীব্র ।
দিনে আলো নেই ঝরে শুধু যায় নবীন পাতার রঙ যে। এই শহরের ভরা বর্ষায় প্রেমিকেরা চিঠি খুঁজছে। ভুলে উত্তাপ, হয়ে নির্বাক সুরা খুঁজি সুরে গাই না। দেখি না কিছুই স্বর নিভে থাকে চোখ তুলে আর চাই না। কে যে বুকে কার বুলেট মেরেছে.. কে হাসে আর শেষতক। বুকে ধরে ছুরি, সাথে চলেছে নামহীন কোন ঘাতক!
তবুও হঠাৎ স্বপ্ন দেখার ভুল রাত আসে কখনো
ভুল করে দেখি- হাতে রেখে হাত গাইছি সে গান অন্য-
চোখে ঘুম নেই বাজো রাত্রি। বাজো তুমুল ওহ ভায়োলিন।
সাময়িক শোক? ভোলো প্রস্তাব। দিন আমাদেরই আজ বইকি!
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..