শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
এই শুনছ! কলতলায় নাকি আছড়ে পড়েছে হৃৎপিন্ড?
চৌরাস্তায় মিথ্যুক মিছিল ‘সত্য নিপাত যাক, রসাতলে যাক বিশ্ব!’
এই শুনছ! তেতালা বাড়ির পলেস্তারায় জমে যাচ্ছে একাকিত্বের শ্যাওলা,
কঠিন বিবাদে জড়িয়ে গেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই হুলো বেড়াল
‘বাচ্চাটা কার?’
অন্তিম শয্যাগত মায়ের ছিল একটাই লুকোন গল্প!
এই শুনছ! পাড় ভাঙছে মেঘনায়
গত বর্ষায় মিলন হলো না,
এবার কি তাই নদীও সর্বগ্রাসী?
কালো যমুনা ;
কালো, কালো মেয়ের নাম যমুনা,
তার সিঁথির পরে বেলিফুলের গয়না
আলোয় রাঙা বঁধুয়া,
তবুও দেখেছো রহিম ব্যাপারীর মন ভরল না?
ফি বছরে ভেসে গেল মেয়ে কালো যমুনায় মিশে?!
এই শুনছ! চাঁদ উঠেছে
অস্তরাগে সাইকেলের ছায়া গুনতে ব্যস্ত
আলোকচিত্রী যুবকের দল ভুলে গেছে উৎসব,
ঈদের জামাতে জমে গেছে শুধু
গত যৌবনা লোকেরা,
নতুন জামায় আর আতরে!
এই শুনছ! ইটের ভাটায় পুড়ছে নাকি অগুনতি হাড়?
কে বা কারা সস্তায় বেচে দিচ্ছে মরা,
সভ্যতার ভিত গড়ছে তবে কারা?
এই শুনছ! কবিতায় বেড়ে গেছে প্রায়শ্চিত্ত,
মূল্যস্ফীতিরও নাকি দ্বিগুণ হারে,
জনৈক কবি নিয়েছে স্বেচ্ছামৃত্যু,
ছন্দ গল্পে জমছে না আজকাল
ঠিকঠাক আবেগ,
লোকেরা কেন বসে থাকে প্যারিসের রাস্তায়?
স্মৃতিহীনতায় এত আনন্দ?!
এই শুনছ! সপ্তম চন্দ্রবাসরে রাস্তায়
রাস্তায় প্রেমিক সমাবেশ,
গোল চত্ত্বরে অপেক্ষারা তবুও চির তরুণ
অপেক্ষায় ক্লান্ত হয় না মহাকাল
অপেক্ষাদের ক্লান্তি নেই!
কেন বলতে পারো?
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..