শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
রোদের আগুন আর বাতাসে
তোমার ভেঁজা শাড়ির জলের ক্ণা পোড়ায়।
সুতোর ভাঁজে শুঁকানো আঁচল
যার নষ্টতন্দ্রা এখনো ভাঙ্গেনি
এখনো আত্মজিজ্ঞাসার শরত জ্ঞান জাগেনি;
অথচ নেচে ওঠে সুদীর্ঘ আঁচল ও প্রশ্ন
কেঁপে ওঠে ঝুলআঁড়া-শূন্যের ঝুলআঁড়া থেকে চোখ
তোমার হেঁটে যাওয়া গোড়ালির ছাপ,
ফিরে আসবার অপেক্ষা;
শরীরের গন্ধ,ভেঁজাকাপড়ে আটকানো হাত
যে হাতে শোষণ শাসন নির্যাতন লুকানো
যে পায়ে নিভানো খুর ও ডাইনীবিদ্যা
কেবল মানায় রুপসী দেশ
সব তল্লাটে সোনালি শষ্যের ঘ্রাণ।
ছন্দ মিলুক না মিলুক-
এসব আমাকে পাগল করে ফেলে
কবিতার নতুন শব্দরা
আবেগে ঠাসা ঘোরতর উত্তরণ মুখের অনাধুনিক!
কখনো লিখছি মানুষের মুখাবয়ব,কখনো লাশের;
এসবে কেউ কাছে টানে।কেউ দূরে ঠেলে-
প্রত্যেকদিন আকাশের মতন
শাদা খাতায় আঙ্গুল নেড়ে
কালো কালিতে রক্ত ঝরায়,অরণ্য ও ফুলের ওপর
উত্তর পরাগায়নে;দু’হাত মেলে ধরে
সোনা-রোপা ঐশ্বর্যের রেখোপ্রেম
সংসারে বাতির দিয়াশলাই।
গহীন অন্ধকারময়
সিঁড়িভাঙ্গা কালোর ভেতর থেকে মুঠো করে আনে
চেনা অচেনা মুখগহ্বর
সকলকে বলে ভয়ার্ত সাপ নয়-
ফুল ফোটানোর হলুদ রেণু
ফের আহবান!হাজার বছরের অনন্য জগৎ…
সেদিনকার বেণীগাঁথা চুলে
আঁধারের রোপণ কেটে কদমের ফুলে
শ্রাবণের জল আমনের চারা ধানে
নারিশ গেরুয়া শালিক আর আকাশের ঠোঁটবাঁকা মুখ
অরণ্যের দু’হাত বাড়ানো
বাতাসের মাতৃমঙ্গল পাড়াগাঁয়-
বেড়ালচখু,ব্রক্ষ্মপুত্র নয়নে এক অবেলা নারী
নদীর কল্লোল ধ্বনি,
শিরিষ কুয়াশার ফোঁটাফোঁটা একগ্লাস জল
গাছের ছায়ায় হলুদ বিকেল জড়িয়ে
সুরতশ্রী ডাকছে
যৌবন ভরা সবুজের আইলজোড়া মাঠ,
অবমুক্ত খালাসের হৃত্বিকময় দিগন্ত;
সে রূপ আনন্দে বনানীরা আজো ক্লাপ শোনায়…
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..