আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
রোদের আগুন আর বাতাসে
তোমার ভেঁজা শাড়ির জলের ক্ণা পোড়ায়।
সুতোর ভাঁজে শুঁকানো আঁচল
যার নষ্টতন্দ্রা এখনো ভাঙ্গেনি
এখনো আত্মজিজ্ঞাসার শরত জ্ঞান জাগেনি;
অথচ নেচে ওঠে সুদীর্ঘ আঁচল ও প্রশ্ন
কেঁপে ওঠে ঝুলআঁড়া-শূন্যের ঝুলআঁড়া থেকে চোখ
তোমার হেঁটে যাওয়া গোড়ালির ছাপ,
ফিরে আসবার অপেক্ষা;
শরীরের গন্ধ,ভেঁজাকাপড়ে আটকানো হাত
যে হাতে শোষণ শাসন নির্যাতন লুকানো
যে পায়ে নিভানো খুর ও ডাইনীবিদ্যা
কেবল মানায় রুপসী দেশ
সব তল্লাটে সোনালি শষ্যের ঘ্রাণ।
ছন্দ মিলুক না মিলুক-
এসব আমাকে পাগল করে ফেলে
কবিতার নতুন শব্দরা
আবেগে ঠাসা ঘোরতর উত্তরণ মুখের অনাধুনিক!
কখনো লিখছি মানুষের মুখাবয়ব,কখনো লাশের;
এসবে কেউ কাছে টানে।কেউ দূরে ঠেলে-
প্রত্যেকদিন আকাশের মতন
শাদা খাতায় আঙ্গুল নেড়ে
কালো কালিতে রক্ত ঝরায়,অরণ্য ও ফুলের ওপর
উত্তর পরাগায়নে;দু’হাত মেলে ধরে
সোনা-রোপা ঐশ্বর্যের রেখোপ্রেম
সংসারে বাতির দিয়াশলাই।
গহীন অন্ধকারময়
সিঁড়িভাঙ্গা কালোর ভেতর থেকে মুঠো করে আনে
চেনা অচেনা মুখগহ্বর
সকলকে বলে ভয়ার্ত সাপ নয়-
ফুল ফোটানোর হলুদ রেণু
ফের আহবান!হাজার বছরের অনন্য জগৎ…
সেদিনকার বেণীগাঁথা চুলে
আঁধারের রোপণ কেটে কদমের ফুলে
শ্রাবণের জল আমনের চারা ধানে
নারিশ গেরুয়া শালিক আর আকাশের ঠোঁটবাঁকা মুখ
অরণ্যের দু’হাত বাড়ানো
বাতাসের মাতৃমঙ্গল পাড়াগাঁয়-
বেড়ালচখু,ব্রক্ষ্মপুত্র নয়নে এক অবেলা নারী
নদীর কল্লোল ধ্বনি,
শিরিষ কুয়াশার ফোঁটাফোঁটা একগ্লাস জল
গাছের ছায়ায় হলুদ বিকেল জড়িয়ে
সুরতশ্রী ডাকছে
যৌবন ভরা সবুজের আইলজোড়া মাঠ,
অবমুক্ত খালাসের হৃত্বিকময় দিগন্ত;
সে রূপ আনন্দে বনানীরা আজো ক্লাপ শোনায়…
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..