জোবায়েন সন্ধি। নির্বাসিত লেখক, কবি, সম্পাদক, প্রকাশক, সেক্যুলার ব্লগার ও মানবাধিকার কর্মী। জন্ম বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নিরিবিলি শহর জয়পুরহাটে।

তিনি অংশুমালী'র প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক।

লেখাপড়া করেছেন 'লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স'-এ।  বাংলাদেশ ছাড়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ১৯৯৫ সাল থেকে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় লেখক সংগঠন জার্মান পেন সেন্টার-এ 'নির্বাসিত লেখক' হিসেবে বসবাস করছেন। তিনি হানোভার ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগে বাংলাদেশে 'ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি', 'ধর্মীয় উগ্রবাদ নির্মুলে করণীয়' বিষয়ে কয়েকবার গবেষণামূলক প্রবন্ধপাঠ করেছেন। 'লিটারেচার হাউস' হানোভার এ 'সাহিত্যাঙ্গনে মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা' বিষয়ে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তাঁর লেখা গবেষণাপত্র পাঠ করেছেন। এছাড়াও জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যের লিটারেচার হাউসে অতিথিবক্তা হিসেবে বাঙলা ভাষায় বক্তব্য দেন। জার্মান কবি সাহিত্যিকদের বাৎসরিক কংগ্রেসে বাংলাদেশের লেখক হিসেবে নিয়মিত প্রবন্ধ ও কবিতাপাঠ করেন, তাদের মধ্যে বেশকিছু লেখা জার্মান ভাষায় অনূদিত ও আবৃত্তি হয়েছে। ২০১৭ সালে জার্মানির শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা FISCHER থেকে জোসেফ হোসলিংগার ও ফ্রান্সিসকা স্পারের সম্পাদনায় জার্মান ভাষায় প্রকাশিত তাঁর লেখা নিবন্ধগ্রন্থ ( Zuflucht in Deutschland: Texte verfolgter Autoren) জার্মান পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। লেখালেখির বাইরে তিনি মানবাধিকার, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুভমেন্টের সাথে যুক্ত। তিনি মতপ্রকাশের উন্মুক্ত প্লাটফর্ম নবযুগ ব্লগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক।

শহীদ কাদরী: বোহেমিয়ান এক নাবিক

শহীদ কাদরী: বোহেমিয়ান এক নাবিক

সাতচল্লিশ পরবর্তীকালে বাঙালি কবিদের মধ্যে নাগরিক-জীবন-সম্পর্কিত শব্দ চয়নের মাধ্যমে বাংলা কবিতায় নাগরিকতা ও আধুনিকতাবোধের সূচনা…..