কবি সঞ্জয় চক্রবর্তীর জন্ম বাংলার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দক্ষিণ বিধাননগর অঞ্চলে , এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে । তাঁর পিতা সমীর চক্রবর্তী ছিলেন শিল্পক্ষেত্রের একজন সাধারণ কর্মচারী এবং মাতা মমতাদেবী একজন গৃহিনী ।
সঞ্জয় চক্রবর্তী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলাবিভাগে প্রথমশ্রেণিতে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন এবং পরে কলাবিদ্যাতেই গবেষণাকর্ম শুরু করেন । কিন্তু পারিবারের আর্থিক দুরবস্থার দরুণ মাঝপথে গবেষণাকর্মে ইতি টানতে বাধ্য হন । বাবা প্রয়াত হওয়ার পরে গৃহ শিক্ষকতাই ছিল কবির জীবিকা উপার্জনের একমাত্র উপায় । এরপর মায়ের অনুপ্রেরণা ও সামাজিক পারিপার্শিকতার প্রয়োজনীয়তা থেকেই তাঁর হাতে কলম উঠে আসে । কবিতার মাধ্যমেই সামাজিক অসাম্যতার বিরুদ্ধে লেখা শুরু করেন সঞ্জয় চক্রবর্তী । তাঁর রচিত একাধিক কবিতাই সমাজের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করে । সঞ্জয় চক্রবর্তী ‘কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার’ ও ‘কাব্য সাধক পুরস্কার’-এ সম্মানিত হয়েছেন । জাপানের হাইকু নিয়ে বাংলা ভাষায় গবেষণার জন্য ভারত সরকার অনুমোদিত যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা তাঁকে "হাইকু প্রভাকর" উপাধিতে সম্মানিত করেছে । কবির লিখিত চারটি কাব্যগ্রন্থ সাহিত্যমহলে যথেষ্ট সমাদৃত । সেগুলি হল, না বলা কাহিনিরা ওত পেতে আছে, গাঙপাড়ের সেই হলুদমেয়েটা, কস্তুরীগন্ধে যমুনাতে নীলডানা এবং হাইকু ধ্রুপদী।