পঞ্চনামা
ঠিক তোমাকে নয়, ফিরে পেলাম আরেক রমণীকে রমণযোগ্য তবে ব্যবহার যোগ্য নয়… আমি তো শয্যা…..
দীক্ষা
তুমি দখিন কোণের দিকে একটু একটু করে
সরে যেতে যেতেও রাগে লাল হয়ে উঠছ ক্রমশ,
আলপথে হাঁটতে হাঁটতে চোখ বলছে, একটু চোখালাপ হতেই পারে।
এতো লাল তোমার মুখ- ভয়ে নয়, অহঙ্কারে মাথা উঁচু করে,
তোমার কাছ থেকে সাহস নিতে চাই।
সবুজ ক্ষেত তোমার আলোয় ধিরে ধিরে সোনালী থেকে লালচাদরে মুড়ছে,
জেগে ওঠার গান নিয়ে তুমি দীক্ষাগুরুর বেশে।
জিঘাংসা
কলি হতে ফুল ফোটার বাড়ন্ত সময়ে সহবাসে সহোদল,
স্বৈরাচারী মালীর উৎপাটিত যন্ত্রণা- নীরব কান্নায় বৃন্তের বিলাপ।
হিসেবের জাবেদা খাতা উন্মুক্ত নিষ্ঠুর
লাভ-ক্ষতির চতুর খেলা,
কিশোর প্রেমের অনুমানের ছোঁয়াতে লুটিয়ে পড়ছে অসহায় এতিম।
একটা একটা পাপড়ি গণিতের সরঞ্জাম,
সাফল্য না ব্যর্থ, মুনাফা কিংবা লোকসান! সময় কাঠগড়ায়।
ঠিক তোমাকে নয়, ফিরে পেলাম আরেক রমণীকে রমণযোগ্য তবে ব্যবহার যোগ্য নয়… আমি তো শয্যা…..
দেখার বাহিরে দেখা ও দেখার বাহিরে।কতটুকু চেনাজানা হয়?হাতবদল হয়?মালাবদলের গান বাজে সানাইয়ে? প্রাগৈতিহাসিক এক নীড়ে…..
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে কথার ফুলঝুরি কিছু সুখ কিছু হাসির মাখামাখি হৃদয়ের স্পন্দনে সাজানো বাগান…..
আজ এই বসতি এই স্বপ্ন এই ভালোবাসা যদি স্বার্থের আঘাতে হারিয়ে যায় জীবন অন্ধকারে…..